চন্দ্রাবতী ( পর্ব ১৩ )

চন্দ্রাবতী ( পর্ব ১৩ )
চন্দ্রাবতী ( পর্ব ১৩ )


চন্দ্রাবতী ( পর্ব ১৩ )
মিশিতা চৌধুরী


চন্দ্রা একটা শাড়ি পড়লো।সাথে হালকা কিছু গয়না।তানহা এসে বলল,"বাহ চন্দ্রা আপু তোমায় তো ভারী সুন্দর লাগছে।"


চন্দ্রা তানহার গাল টেনে বললো"তোমায় ও খুব মিষ্টি লাগছে।"


"ঠিক বলছো তো?"

"হুম হুম ১০০% সত্যি বলছি।"

"হিহিহি।চলো এবার তোমায় সবাই ডাকছে। বর এসে গেছে।"


চন্দ্রা তানহার সাথে বিয়ের আসরে গেল। সবাইকে অর্কের সাথে হাসি তামাশা করছে।বিয়ে শুরু হতে দেরি আছে। মিসেস সাবিনা চন্দ্রাকে ডেকে বলল,"চন্দ্রা মা এই শরবতটা অর্ক আর ওর বন্ধুদের দাও। অনেক টা জার্নি করে এসছে।"


"জি আন্টি।"


চন্দ্রা শরবতের গ্লাস নিয়ে অর্ককে দিতে যাবে এমন সময় একজন মহিলা বলল,"শুভকাজে তুমি এসেছ কেন?দাও গ্লাস আমায় দাও।বিয়ে শেষ হওয়া অবধি রুম থেকে বের হবে না। নিজের সংসারটা ভেঙ্গেছ এখন কি বান্ধবীর টাও নষ্ট করার ইচ্ছে নাকি।"


অন্য একজন বলল,"এসব মেয়েরা অপয়া হয়।কেন যে শুভ কাজে হাত দিতে আসে!"


মহিলাদের কথাগুলো শুনে চন্দ্রার চোখ বেয়ে পানি পরতে লাগলো।প্রতিবাদ করার শক্তি পাচ্ছিলো না। লজ্জায় অপমানে দৌড়ে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যাচ্ছিলো। পেছন থেকে হাতে টান পড়ায় খুব অবাক হলো।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে মিসেস সাবিনা হাত ধরে রেখেছে।


"তুমি কেন পালাচ্ছো চন্দ্রা? দোষ কি তুমি করেছ?"


চন্দ্রা চুপচাপ চোখের পানি ফেলছে। মিসেস সাবিনা বলে উঠলো,"শুনুন আপারা আপনাদের দুজনকে বলছি । আপনারা যে এতোক্ষণ ধরে এই মেয়েটাকে এতো কথা শোনালেন আপনারা কি জানেন ওর জীবনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে? আপনাদের অভ্যাস হয়ে গেছে সংসার ভাঙ্গার দায় মেয়েদের উপর চাপানো। এক্ষেত্রে যে পুরুষের যে দোষ থাকে তা আপনাদের মাথায় থাকে না।যা হবে সব মেয়েদের দোষ।আচ্ছা আপনার ও তো মেয়ে আছে আপনার মেয়ের সাথে যদি এমন হতো তবে তাকেও কি এমন দোষ দিতে পারতেন? নিজের মেয়ে মেয়ে হয়। অন্যের মেয়ে অপয়া অলক্ষ্মী। এ কেমন নিয়ম!আর কখনো কাউকে অপমান করার আগে নিজের মেয়ের কথা মনে করবেন।"


নীলাশা এসে বলল,"মম তুমি এতো চিৎকার করো না তোমার শরীর খারাপ করবে।আর এই যে আপনাদের বলছি আপনাদের যদি বিয়েতে থাকতে ইচ্ছে হয় থাকুন আর ইচ্ছে না হলে চলে যেতে পারেন। চন্দ্রা কোথাও যাবে না।ও এখানেই থাকবে।"


মিসেস সাবিনা এসে চন্দ্রার চোখ মুছে দিলো।

"তুমি তো সাহসী মেয়ে । এভাবে কান্না করবে না। মানুষের স্বভাব হলো দুর্বল জায়গায় আঘাত করা।তাই এসবে পাত্তা দিবে না।যে যা বলছে বলুক।"


নীল এসে বলল,"কি হয়েছে মম চন্দ্রা এমন কাঁদছে কেন?"


মিসেস সাবিনা নীলকে সবটা বলার পর নীল প্রচন্ড রেগে গেল।


"কার এতো বড় সাহস আমার মহারানীকে অপমান করে!"

"শান্ত হ আব্বা।যা বলার আমি বলেছি তুই এখন মাথা গরম করিস না।বিয়েতে এমন একটু আধটু হয়।এখন রেগে গেলে বিয়ের আনন্দটা নষ্ট হয়ে যাবে।অনুর খারাপ লাগবে।"


মহিলা দুজন এসে বলল,"তুমি আমাদের মাফ করে দাও।আমরা না জেনে তোমায় অনেক কথা বলে ফেলেছি। সাবিনা আপার কথায় আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। "


"না না আপনারা আমার মায়ের বয়সী। আপনাদের কথায় খারাপ লেগেছে ঠিকই কিন্তু মাফ চেয়ে আমায় ছোট করবেন না। শুধু আপনারা নন সমাজের এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিয়ে সংসার ভাঙ্গার কারণ হিসেবে মেয়েদের দিকে আঙুল তোলে।তাই আমি কিছু মনে করি। সমাজের নিয়ম এটাই। আপনি আমি কেউই এর বাইরে যেতে পারি না। আমাদের হাত মুখ বাঁধা।"


"অনেক কথা হয়েছে এবার  চলো।বিয়ে শুরু করতে হবে নাহলে দেরি হয়ে যাবে।"


অনুকে বিয়ের আসরে নিয়ে আসা হলো।কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করলেন।বিয়ে শেষে বর কনেকে একসাথে খেতে দেওয়া হলো। হঠাৎ মিসেস সাবিনা এসে বললেন,"নীল এদিকে আয় তোর সাথে আমার জরুরি কথা আছে।"


"হুম আসছি।"


সারা বাড়িতে লোকের সমাগম। কোথায় নিরিবিলি জায়গা না পেয়ে মিসেস সাবিনা নীলকে নিয়ে ছাদে চলে গেলেন।


"বলো মম!"

"আব্বা তুই চন্দ্রাকে আগে থেকে চিনিস?"

"হ্যাঁ মম।ও আমাদের কোম্পানিতে চাকরি করে।'

"তুই তখন ওকে মহারানী কেন বললি ?"

"মম চন্দ্রাই হচ্ছে আমার হারিয়ে যাওয়া সেই মহারানী।যাকে আমি এতগুলো বছর খুঁজে বেড়িয়েছি।"

"আব্বা চন্দ্রার আগে একবার বিয়ে হয়েছে।সেটা জানিস তো?

"হ্যা মম অনুর কাছে সব শুনেছি।"

"জেনে শুনে এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করবি?"

"মম তুমি এ কথা বলছো? একটু আগে তুমি সবার সামনে ওকে অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়েছো।আর এখন!"

"আব্বা অপমানের হাত থেকে বাঁচানো আর তাকে ছেলের বৌ হিসাবে মেনে নেওয়া এক না।"

"মম!"


"হ্যাঁ আমি একটা মেয়ে হিসেবে আরেকটা মেয়ের সম্মান বাঁচানো কতর্ব্য বলে মনে করেছি। সেইজন্য আমি প্রতিবাদ করেছি।আমি চাই না আর তুই চন্দ্রাকে নিয়ে পাগলামি করিস। আমার পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে হবে।আজ থেকে চন্দ্রার সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ। অফিসের প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলবি না।"


"মম এসব তুমি কি বলছো। প্লীজ মম এসব বলো না।দেখো এতগুলো বছর পর আমার ভালোবাসার মানুষটিকে ফিরে পেয়েছি।আমি আর ওকে হারাতে পারবো না।"

"আমার সিদ্ধান্ত আমি জানিয়ে দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে তোর বিয়ে আমার পছন্দ করা মেয়ের সাথে। আমি চাই না আমার কথার নড়চড় হোক।"


"মমমম।"


মিসেস সাবিনা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসলেন।নীল ছাদে স্তব্দ হয়ে বসে রইলো।


"একে তো চন্দ্রা মেনে নিচ্ছে না এখন আবার মম!!কি করবো আমি।"


বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে হলো।অনুকে  গাড়িতে তুলে দিল। অনু  চলে যাওয়ার পর সবার খুব মন খারাপ। ভীষণ কান্না করছিল মেয়েটা।অনুর মা  কান্না করছে। সবাই ওনাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।প্রতিটা মেয়ের জন্য এই দিনটা সত্যি ভীষণ কষ্টের। 


পরের দিন বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে সবাই গ্ৰাম থেকে চলে আসলো।তার মধ্যে অনেকবার চন্দ্রা আর নীলের দেখা হয়েছে। চন্দ্রাকে দেখলেই নীলের তার মমের বলা কথাগুলো মনে পড়ে যায়। চন্দ্রাও কোনো এক অজানা কারণে নীলকে এড়িয়ে চলছে।


বিয়েতে সবার খুব ধকল গেছে। চন্দ্রা একদিন ছুটি বাড়িয়ে নিলো বিশ্রাম নেবে বলে। এদিকে নীল চন্দ্রার সাথে কথা বলার জন্য ছটপট করতে লাগলো। চন্দ্রা অফিসে যাবে না শুনে নীলও অফিসে যায় নি। মিসেস সাবিনা এসে দেখে নীল মনমরা হয়ে বসে আছে‌।বলল,"কিরে আব্বা আজ অফিসে যাস নি?"


"যেতে ইচ্ছে করছে না।আচ্ছা ঠিক আছে আমি বিকেলে বের হবো একটু।নীলাশা তো নেই। তুই একটু সাবধানে থাকিস।"

"ঠিক আছে মম!"


বিকালে মিসেস সাবিনা গাড়ি নিয়ে বের হলেন।আধ ঘন্টা পর একটা রেস্টুরেন্টে এসে গাড়ি থামালেন।ড্রাইভারকে বললেন,


"শোনো তুমি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করো। আমার আসতে একটু সময় লাগবে।"

"ঠিক আছে ম্যাম সাহেবা।"


মিসেস সাবিনা কাজ শেষে বাসায় এসে দেখলো নীলাশা আরশির সাথে খেলা করছে। মিসেস সাবিনাকে দেখে নীলাশা বলল,"কাজ হয়েছে মম?"


"তোমার মম কাজে হাত দেবে আর সেই কাজটা হবে না এমন কখনো হয়েছে??"

"ওয়াওওও মম তুমি তো ফাটিয়ে দিয়েছো।"


পরের দিন সকালে চন্দ্রা অফিসে গেল। নিজের মতো করে কাজ করছে।নীল বারবার এসে ঘুরঘুর করছে কিন্তু চন্দ্রা দেখেও না দেখার ভান করছে।বৃষ্টি এসে নীলকে নিয়ে গেল একটা মিটিংয়ের ব্যাপারে আলোচনা করতে। অভি এসে বলল ,


"চন্দ্রা ম্যাডাম এই ফাইলটা একটু দেখে নিন। সব ঠিক আছে কি না।"


চন্দ্রা ফাইলটা হাতে নিয়ে বলল,"আমি দেখে আপনাকে জানাচ্ছি।"


"ঠিক আছে।"


অভি নিজের কেবিনে গিয়ে কাজ করছে হঠাৎ পিয়ন এসে বলল,"অভি স্যার আপনাকে একজন ভদ্র মহিলা খুঁজছেন।"


"আমায়!নাম বলেছে?"

"না স্যার নাম তো জিজ্ঞেস করলাম বলে নি। শুধু বলল অভিরাজের সাথে দেখা করবো।"

"আচ্ছা চলুন।"


বাইরে গিয়ে দেখে তানিয়া দাঁড়িয়ে আছে।তানিয়াকে দেখে অভির রাগ বাড়তে লাগলো। নিজেকে কোনো রকম সামলে বলল,"এখানে কেন এসেছো?কি চাই তোমার?"


তানিয়া অভির পায়ে পড়ে গেল।"অভি প্লীজ আমায় ক্ষমা করে দাও।আমি না বুঝে অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলেছি।"


"পা ছাড়ো তানিয়া।এটা আমার কাজের জায়গা,কোনো নাটকের মঞ্চ না।পা ছাড়তে বলছি।"


"প্লীজ অভি আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।কাউকে কষ্ট দিয়ে ভালো থাকা যায় না।আমি যার জন্য তোমায় ছেড়ে গেছি সে একটা ঠক প্রতারক ছিলো।সে আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে।আমি লোভে পড়ে ভুল করেছি। সেদিন তোমার বাসা থেকে বেরিয়ে ওকে কল দিলাম ও রিসিভ করে নি। দুদিন পর মেসেজ করে একটা ঠিকানায় যেতে বলে। সেখানে গিয়ে দেখি আরো অনেক মেয়ে।যাদের ঐ জানো** বাচ্চা বিক্রি করে দিয়েছে। কয়েকমাস পর পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে।জানতে পারলাম ওর কাজ হচ্ছে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুঁসলিয়ে বিক্রি করা"


অভি চিৎকার করে বলল,"একদম চুপ।কোনো কথা শুনতে চাই না।ভালোয় ভালো এখান থেকে চলে যাও।"


অভির চিৎকারে অফিসের লোকজন জড়ো হয়ে গেছে।নীল এসে বলল,"কি হয়েছে এখানে।এতো চিৎকার কেন।"


"সরি স্যার পার্সোনাল ম্যাটার।


তানিয়া নীলের কাছে এসে বলল,"স্যার আমি মস্ত বড় একটা ভুল করেছি।অভিকে বলুন না আমায় ক্ষমা করে দিতে।"


নীল বলল,"দেখুন ম্যাডাম এটা আপনাদের ব্যাপার আমি কি বলবো। মি.অভি ঝগড়া মিটিয়ে নিন।"


"স্যার এটা কোনো ভুল না। জেনে শুনে অন্যায় করেছে।আমি মাফ করবো না।ওর জন্য আমার মা বাবা আমার থেকে দূরে সরে গেছে।ওর জন্য আমার ফুলের মতো নিষ্পাপ বউকে আমি বের করে দিয়েছি।"


চন্দ্রা একটা কোনায় দাঁড়িয়ে আছে‌।তানিয়া চন্দ্রাকে দেখে ওর কাছে গেল।বলল,"চন্দ্রা আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি।আমায় তুমি মাফ করে দাও।তোমরা মাফ না করলে আমি মরেও শান্তি পাবো না‌।"


"দেখো তানিয়া তুমি যা করেছ তাতে তোমার একার কোনো দোষ নেই।এক হাতে কখনো তালি বাজে না। আমার কাছে তুমি আর মি.অভি সমান অপরাধী। তোমাদের দুজনের জন্য আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।আমি কখনো মাফ করতে পারবো না।তবে তোমাদের দুজনের সাথে যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। আমি কিন্তু কোনো অভিশাপ দেই নি। কিন্তু রুহের হায় বলে একটা কথা আছে। আল্লাহ সবাইকে তার কর্মের ফল দিয়ে দেন। তোমরাও তোমাদের শাস্তি পেয়েছো‌। মি.অভিরাজ আপনি বরং তানিয়াকে ক্ষমা করে দেন।দেখুন আপনি যেমন অপরাধ করেছেন তানিয়া ও ঠিক একই দোষে দুষ্ট।তাই ক্ষমা করে জীবনটাকে গুছিয়ে নিন। দরকার হলে আমি আপনার বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো‌।"


অভি চুপ করে রইলো।"চন্দ্রা যা বলেছে ঠিকই বলেছে। আমি ও তো অন্যায় করেছি। তানিয়াকে তো আমি এখনো পুরোপুরি ভুলতে পারিনি।কোথাও না কোথাও গিয়ে ওকে তো মিস করতাম এতো গুলো দিন‌।"


নিরবতা ভেঙ্গে অভি বলল,"যদি মা বাবা মাফ করে তবে আমি ওকে মেনে নেবো।"


"ঠিক আছে মি.অভি আমি আপনার মা বাবার সাথে কথা বলবো। তানিয়া তুমি এখন বাড়ি যাও।"


অফিসের কাজ শেষ করে নীল বাসায় এসে শুয়ে পড়লো।আজ বড্ড ক্লান্ত লাগছে।এতো কিছুর মধ্যে চন্দ্রার সাথে কথা বলা হলো না।মিসেস সাবিনা এসে বলল,"আব্বা আগামী পরশু বিয়ের পাকা কথা বলতে যাবো।আমি তোর ফোনে মেয়ের ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে।দেখ তো কেমন লাগছে আমার বউমাকে।"


"মম প্লীজ এমন করো না।দেখো আমি তো একজনকে ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমার পক্ষে অন্য কাউকে মেনে নেওয়া সম্ভব না। মম ভালোবাসা ছাড়া সংসার হয় না।"

"আমি এক কথার মানুষ আব্বা।ওই মেয়েটির মাকে কথা দিয়েছি।তুই কি চাস এই বয়সে তোর মম কথার খেলাপ করে অপমানিত হোক।যাকে তুই ভালোবাসিস তাকে ভুলে যা।আমি যা ঠিক করেছি সেটাই মেনে নে ।এতেই তোর ভালো হবে।"


কথাগুলো বলে মিসেস সাবিনা নিজের রুমে চলে গেলেন।পরের দিন নীল তাড়াহুড়ো করে অফিসে বের হয়ে গেল।


"আজ যে করেই হোক চন্দ্রার সাথে কথা বলতে হবে। একমাত্র চন্দ্রাই পারবে সব ঠিক করতে।"


অফিসে গিয়ে চন্দ্রার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। ঘন্টাখানেক পরে চন্দ্রা অফিসে ঢুকতেই নীল এসে বলল.....


***চলবে***

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দয়া করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।